ভারতের অর্থনীতির বড় একটা অংশ ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। ভারতের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত মোট ৫০ শতাংশ ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হচ্ছে। যেসব ব্যবসা এত দিন টিকে ছিল, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় সেগুলো দ্রুতই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশের ভাদোহি এলাকার কার্পেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের মালিক ইশতিয়াক আহমদ খান বলছিলেন, ‘২৫ শতাংশ শুল্কে আমরা হতবাক হয়েছিলাম। কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করব, সেটা নিয়ে ভাবছিলাম। কিন্তু সেই ২৫ শতাংশই হয়ে গেল এখন ৫০ শতাংশ। এটি অনেকটা অসম্ভব হয়ে গেল। আমরা ভয় পাচ্ছি, অনেক মানুষ বেকার হয়ে যাবে।’
ভারতে কার্পেট একটি বড় ব্যবসা। মোট উৎপাদনের ৯৮ শতাংশই বিদেশে রপ্তানি হয়। হাতে তৈরি কার্পেটই এই বাণিজ্যের বড় অংশ। আর পারস্য ধাঁচের হাতে বোনা গালিচা সবচেয়ে দামি। বিগত কয়েক বছরে প্রায় ৬০ শতাংশ কার্পেটই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে। মার্কিন আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে আগে ৫০০ ডলার দামের গালিচায় ১২৫ ডলার শুল্ক যোগ হতো। এখন সেটা দ্বিগুণ ২৫০ ডলারও হতে পারে।
ভাদোহি উত্তর ভারতের কার্পেট তৈরির মূল কেন্দ্র। এখানে ইশতিয়াকের মালিকানাধীন আজাজ কার্পেটসের মতো শত শত, এমনকি হাজারও কার্পেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠান সামান্য লাভ করে টিকে আছে। তাই তাদের পক্ষে মার্কিন ক্রেতাদের ওপর পড়া এত বড় শুল্কের চাপ নিজেদের কাঁধে নেওয়া সম্ভব নয়। এই শিল্পের রপ্তানি উন্নয়ন পরিষদের নেতৃত্ব দেওয়া ইশতিয়াকের হিসাব, অঞ্চলের প্রায় ২৫ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্য অবস্থায় পড়ে যেতে পারেন।
মার্কিন শুল্কের কারণে আরও যেসব খাত বড় ধরনের ধাক্কার মুখে পড়তে পারে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বস্ত্র ও পোশাক, মাছ বিশেষ করে চিংড়ি এবং আসবাব। এগুলো ভারতের সবচেয়ে দামি খাত না হলেও এসব খাতে লাখ লাখ মানুষ কাজ করে। সংকটের সময়ে এগুলোর উপার্জিত শত শত কোটি ডলার ভারতের আর্থিক অবস্থাকে শক্ত রেখেছে।
ভারতে কার্পেট একটি বড় ব্যবসা। মোট উৎপাদনের ৯৮ শতাংশই বিদেশে রপ্তানি হয়। হাতে তৈরি কার্পেটই এই বাণিজ্যের বড় অংশ। আর পারস্য ধাঁচের হাতে বোনা গালিচা সবচেয়ে দামি। বিগত কয়েক বছরে প্রায় ৬০ শতাংশ কার্পেটই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে।
পণ্য বাণিজ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত বছর মোট বাণিজ্য ছিল ১২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। তবে এসব পণ্যের মধ্যে কার্পেট যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়, এমনও নয়। তবে এখন প্রশ্ন আরও অনেক বড়। দুই দেশের কৌশলগত বাণিজ্য সম্পর্ক অনেকটা ঝুলে আছে।
উদাহরণ হিসেবে ওষুধশিল্পের কথা বলা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত জেনেরিক ওষুধের প্রধান উৎপাদক ভারত। আর এই শিল্পের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজার যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই খাতে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কে ‘বিশেষ ছাড়’ থাকায় একটা অনিশ্চিত অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ মুহূর্তে ভারতীয় ওষুধ আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো শুল্ক নেই। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শিগগিরই ১৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। পরে হয়তো সেটা ২৫০ শতাংশও হতে পারে। তাঁর মতে, এই শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করবে।
সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ছাড় থাকায় বোঝা মুশকিল হচ্ছে, ভারতের দ্রুত বিকাশমান ইলেকট্রনিকস উৎপাদন টিকতে পারবে কি না। এ ক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে, অ্যাপলের আইফোনের উৎপাদন চীন থেকে ভারতে সরিয়ে আনা। এই খাত এখনো শুল্কের বাইরে আছে। কিন্তু আইফোন এখন কি ভারতে টিকে থাকতে পারবে কি না, সেটাও বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।
তেল-গ্যাসও জটিল, কারণ জ্বালানি পণ্য এখনো শুল্কমুক্ত। ভারতের রাশিয়া থেকে তেল কেনাকাটার কারণে জরিমানা হিসেবে ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের যুক্তি দেখাচ্ছেন ট্রাম্প। এই হুমকি দেওয়ার আগপর্যন্ত, ভারতের মার্কিন পণ্য কেনার সুযোগ বৃদ্ধির দরজা খোলা ছিল।
এ মুহূর্তে ভারতীয় ওষুধ আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো শুল্ক নেই। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শিগগিরই ১৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। পরে হয়তো সেটা ২৫০ শতাংশও হতে পারে। তার মতে, এই শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ভারতের আরেক বড় খাত রত্ন ও গয়নাশিল্পে কতটা ক্ষতি ডেকে আনবে, তা এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তবে ভেতরকার লোকজন সতর্কবার্তা দিচ্ছেন, যুক্তরাষ্ট্রই ভারতের রত্নের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।
৭ আগস্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ভারতের পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেন, তখন রত্ন ও গয়নাশিল্পের মূল সমিতির চেয়ারম্যান কিরীট বানসালি লিখেছিলেন, ভারতের বৈশ্বিক রত্ন-বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
বানসালি লিখেছেন, ‘এত বড় পরিসরে একযোগে শুল্ক আরোপ এই শিল্প খাতের জন্য ধ্বংসাত্মক।’ এই খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী তুরস্ক ও থাইল্যান্ডের শিল্প অনেক ছোট হলেও এসব দেশ ভারতের বিরুদ্ধে অপ্রতিদ্বন্দ্বী সুবিধা পাবে। কারণ, ভারতের তুলনায় তাদের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক কম।’
বানসালির মতে, ভারতের রত্ন ব্যবসায়ীদের ঋণ পরিশোধে সরকারের সহায়তা লাগবে এবং ভারতের ব্যাংকগুলোকেও এগিয়ে আসা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের কারণে ঝুঁকিতে পড়া ব্যবসাকে বাঁচাতে সরকারের কোনো পরিকল্পনা থাকলেও তা চোখে পড়ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলোকে বলেছে, নিজেদের কোম্পানির খেয়াল নিজেরাই রাখুক।
নয়াদিল্লির চিন্তন প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ’-এর অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, বিদেশে রপ্তানি বাণিজ্যে রাজ্য সরকারগুলো সব সময়ই কেন্দ্রের নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে থাকে। তার মতে, একইভাবে ভারতের ব্যাংকগুলো ঋণ মওকুফে না–ও রাজি হতে পারে।
এত বড় পরিসরে একযোগে শুল্ক আরোপ এই শিল্প খাতের জন্য ধ্বংসাত্মক। এই খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী তুরস্ক ও থাইল্যান্ডের শিল্প অনেক ছোট হলেও এসব দেশ ভারতের বিরুদ্ধে অপ্রতিদ্বন্দ্বী সুবিধা পাবে। কারণ, ভারতের তুলনায় তাদের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক কম
—কিরীট বানসালি, ভারতের গয়না রপ্তানিকারক
গত শুক্রবার সকালে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৬ শতকের লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেন। তিনি দীর্ঘ ১০৩ মিনিট কথা বলেন। ভাষণে তিনি পাকিস্তানের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ থেকে শুরু করে মহাকাশ কর্মসূচির সাফল্য, খেলাধুলা ও স্থূলতা কমানোর মতো নানা সাফল্যের কথা বলেন।
কিছুদিন আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাজনৈতিক বন্ধু মনে করতেন নরেন্দ্র মোদি। ওই দিনের ভাষণে তাঁর নামোল্লেখ না করে শুল্ক প্রসঙ্গেই বার্তা দিয়েছেন মোদি। বলেছেন, সামনে কঠিন সময়। ভারতের ‘নিজের পায়ে দাঁড়ানো’ প্রয়োজন। মোদির ভাষায়, ‘তাতে কোনো স্বার্থান্ধ শক্তি আমাদের কখনো ফাঁদে ফেলতে পারবে না।’
ভাষণে মোদি আত্মনির্ভরতার পক্ষে অনেক কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘একটি দেশ যত বেশি অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়, তার স্বাধীনতা তত বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ে।’
ভারতের ১৪০ কোটি মানুষকে সাহস জোগাতে মোদির এই চেষ্টা থেকে বোঝা যায়, ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে ‘আক্রমণ’ অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ এনে দিয়েছে। ভাষণে মোদি যে কয়েকটি নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন, তার একটি হচ্ছে তরুণদের জন্য বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
তবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যারা ভারতকে সমৃদ্ধির সোপানে উঠতে ‘মুক্ত বাণিজ্যই শ্রেষ্ঠ পথ’ বলে যুক্তি দিয়ে এসেছেন, সেসব প্রযুক্তিবিদ ও অর্থনীতিবিদের কানে নরেন্দ্র মোদির এই ‘উজ্জীবনী’ স্লোগান এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার মতোই শুনিয়েছে।
কার্পেট রপ্তানিকারক ইশতিয়াক বলছিলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কতটা কল্যাণ বয়ে এনেছে, সেটা তাদের ঘনবসতিপূর্ণ দরিদ্রতম অঞ্চলটির দিকে তাকালে ভালোভাবেই টের পাওয়া যায়।
ইশতিয়াকের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ‘আজাজ কার্পেটস’-এর প্রায় ৮০ শতাংশ শ্রমিক আজও বছরের বড় সময় গম, ধান ও সবজি ফলান। দেশের ৮০ কোটির বেশি মানুষের মতো তারাও সরকারের বিনা মূল্যের পাঁচ কেজির খাদ্যশস্যের রেশনে নির্ভর করেন। কিন্তু সুতা কাটা, রং করা, নকশা করা, বোনা ও কার্পেট ফিনিশিং—এ ধরনের টুকরো কাজ করে বেশির ভাগ পরিবারের মাসে বাড়তি প্রায় ১৭০ ডলার আয় হয়।
এই বাড়তি আয়ই পার্থক্য গড়ে দেয়। শুধু সরকারি রেশনে টিকে থাকার মধ্যে এটিই পার্থক্য করে দেয়। সন্তানের পড়াশোনা, ভোগ্যপণ্য কেনার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে তারা অবদান রাখছেন।
ইশতিয়াক বলেন, ‘আমাদের গ্রামের মানুষ, শ্রমিক ও তাঁতিদের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হবে। দুই দেশের সরকারের মধ্যে সমাধান না হলে, তাদের জন্য কোনো সমাধান থাকবে না।’
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতু আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এটি আগে তিস্তা সেতু নামে পরিচিত ছিল।
সেতুটি কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে দুপুরে সেতুটির উদ্বোধন করবেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
সেতুর উভয় পাশে স্থানীয় জনগণ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বড় মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ঘাটের মধ্যে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে।
এলজিইডি সূত্র জানায়, সেতুটি কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মধ্যে ভ্রমণের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি কমিয়ে দেবে।
সেতুটি সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় ও এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চীনা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে। মোট নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা।
এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, সংযোগ সড়কে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী ব্যবস্থাপনায় ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
সেতুটিতে মোট ৩০টি পিলার রয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি নদীর ভেতরে এবং ২টি নদীর তীরে। নদী শাসনের আওতায় উভয় তীরে মোট ৩.১৫ কিলোমিটার কাজ করা হয়েছে।
এছাড়াও, মোট ৫৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণাধীন-এর মধ্যে চিলমারী মাটিকাটা জংশন থেকে সেতু পর্যন্ত ৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার।
এলজিইডি সূত্র জানায়, এই সেতুটি রংপুর শহর এবং কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা শহরের মধ্যে কৃষিপণ্যের পরিবহন জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে কৃষকেরা সময়মতো পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন, আয় বাড়বে এবং অঞ্চলের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।
রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি মো. তারেককে (২১) গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র ডিবি-গুলশান বিভাগ।
মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ওয়ারী থানার নবাবপুরস্থ কাপ্তানবাজার কমপ্লেক্স ভবন-২ এর সামনে পাকা রাস্তায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি’র গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।
ডিএমপি’র মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক কারবারি কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ ঢাকার দিকে প্রবেশ করছে। পরে অভিযান চালিয়ে চার হাজার পিস ইয়াবাসহ তারেককে গ্রেফতার করা হয়।
তারেক অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট কক্সবাজার থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে বিভিন্ন কৌশলে ঢাকায় নিয়ে আসত। তারপর ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করত।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেকে সুস্থ রাখতে অসংক্রামক রোগের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বাড়াতে ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
যৌথ ঘোষণাপত্রে ৩৫টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ স্বাক্ষর করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবগণের হাতে যৌথ ঘোষণাপত্র তুলে দেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। ঘোষণাপত্রে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘অসংক্রামক রোগ শুধু স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ নয়, বরং এটি ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনের উন্নয়নের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। তাই এককভাবে নয়, বরং সকল মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এ সমস্যার টেকসই সমাধান সম্ভব।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরের মাধ্যমে জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা একসঙ্গে কাজ করতে নতুন করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলাম।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টজনিত অসুখসহ অসংক্রামক রোগ ইতোমধ্যে দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নে যৌথ ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
কুমিল্লা শহরের আদর্শ সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে এক মানবপাচারকারী ও পাসপোর্ট দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা আদর্শ সদর ক্যাম্পের সেনা টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেপ্তারকৃত মো. সাজেদুল ইসলাম (৩৫) কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার হালিমা নগর নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ৫২ টি পাসপোর্ট , অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ৩টি, বাটন মোবাইল ফোন ১টি উদ্ধার করা হয়।
সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবপাচার, পাসপোর্ট জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ এবং অস্ত্র রাখাসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনী জানায়, অভিযান শেষে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও জব্দকৃত সামগ্রী কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোতয়ালী থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম জানান, সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। সেনাবাহিনী বিপুল পরিমান পাসপোর্টসহ তাকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। তাকে বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে।
জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন তারা। তবে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান এই নির্দেশ দেন।
আত্মসমর্পণ করা ৬ কর্মকর্তা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী, সেকশন অফিসার বেলাল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, মো. রেদোয়ান, আব্দুল মজিদ ও তানভীর আহমদ। তারা সবাই দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামি।
দুদকের আইনজীবী লুৎফুল কিবরিয়া শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের চার্জশিটভুক্ত ৬ আসামি মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। পরে ২৪ এপ্রিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউজিসি ২০২৩ সালে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল মামলা করে দুদকের সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মামলায় তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী ছাড়া আরও ৫৬ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যাকবলিত দুই ইউনিয়নের ১ হাজার ১০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে উপজেলা বিএনপি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনভর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পানিবন্দী অসহায় মানুষের হাতে এ সহায়তা তুলে দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শের আলী সবুজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মস্তোফা, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক বোনজির আহমেদ বাচ্চু ও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী।
চলতি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে পদ্মা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেলে উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ গ্রামের অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কাটেনি দুর্গত মানুষের।
এ ছাড়া বন্যায় ফিলিপনগর, মরিচা, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বিপুল আবাদি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন,“বিএনপি সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছে, এখনও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে। আমরা উপজেলা বিএনপির পক্ষন থেকে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এসেছি, যা বিতরণ চলছে।”
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও একটি আন্তর্জাতিক মানের একটি নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ৪ মিলিয়ন ইউরোর একটি সহায়তা প্যাকেজ দেবে বলে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৪ মিলিয়ন ইউরোর বেশি একটি সহায়তা প্যাকেজ প্রদান করবে, যা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবে।’
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ছয় সদস্যের ইইউ প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
মাইকেল মিলার বলেন, একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।
‘আমরা ২০২৬ সালের শুরুর একটি সময়সীমার দিকে এগোচ্ছি,’ তিনি যোগ করেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, এখন আলোচনার বিষয় হলো আগামী কয়েক সপ্তাহ ও মাসে নির্বাচনগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে যে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপগুলো অবিলম্বে নেওয়া প্রয়োজন।
‘এবং এ কারণেই আমরা এখন আমাদের দক্ষতা কাজে লাগাচ্ছি। কারণ আমরা চাই আপনাদের নির্বাচনগুলো অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হোক, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হোক এবং অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হোক,’ তিনি বলেন।
মিলার আরও বলেন, তিনি শুধু ইইউ প্রতিনিধি দলের সহকর্মীদের সঙ্গেই আসেননি, বরং ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও এসেছেন। তারা বাস্তবায়নকারী অংশীদার ও নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ, যারা আসন্ন নির্বাচনে নাগরিক পর্যবেক্ষণে জোরালো মনোযোগ নিশ্চিত করতে এখানে থাকবেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি সহায়তা দেওয়া হবে—যার মধ্যে অপারেশনাল পরিকল্পনা ও বিরোধ নিষ্পত্তির মতো ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের কাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে এখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।’
তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে সম্ভাব্য ইইউ নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ মিশনের জন্য অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ‘এটি এমন একটি বিষয় যা আমরা আগামী মাসগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব,’ তিনি উল্লেখ করেন।
আরেকটি প্রশ্নের জবাবে মাইকেল মিলার বলেন, আগামী মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসবে এ বিষয়টি বিবেচনা করতে যে এখানে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর মতো প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে কিনা।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং, আমরা সম্ভাব্যতা ও যৌক্তিকতা বিবেচনা করছি। তবে আমি আপনাদের যা বলতে পারি তা হলো রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে একটি অগ্রাধিকার, বিশেষ করে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ মিশন মোতায়েনের ক্ষেত্রে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি মনে করেন বেশ কিছু বিষয় সমাধান করা প্রয়োজন, কারণ বাংলাদেশ এখন একটি গভীর রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অবশ্যই নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের অভিজ্ঞতা রাখে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই নির্বাচনগুলো পরিচালনা ও ফলাফলের দিক থেকে অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
মন্তব্য